এই পর্যায়ের প্রথম দিকেই স্পিন্ডল যন্ত্রের তন্তুগুলোর আঘাতে নিউক্লিয়ার এনভেলপ বিলুপ্ত হতে থাকে এবং এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যায় । এই পর্যায়ে নিউক্লিওলাসেরও বিলুপ্তি ঘটে । মেটাফেজ (Metaphase) ➞ নিউক্লিয়ার এনভেলপ ও নিউক্লিওলাস সম্পূর্ণ বিলুপ্ত থাকে।

ইন্টারফেজকে সাধারণত ৩টি উপপর্যায়ে ভাগ করা হয়; যথা- $G_1,$$S$এবং  দশা।

• $G_1$ দশা $\to$ কোষচক্রের মোট সময়ের ৩০-৪০% ব্যয়িত হয়।

• S (সংশ্লেষ) দশা $\to$ এই উপপর্যায়ে মোট সময়ের ৩০-৫০% ব্যয়িত হয়। স্তন্যপায়ীদের কোষচক্রের এ পর্যায় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

• $G_2$ দশা  মোট সময়ের ১০-২০% ব্যয়িত হয়।

DNA এর একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাঁচ প্রতি 34Å দূরত্বে সম্পন্ন হয়। ১০ নিউক্লিওটাইড জোড়ের পর একেকটি প্যাঁচ সম্পন্ন হয়। বেস জোড়গুলো পরস্পর থেকে 3.4Å (34Å $÷$ 10 = 3.4Å) দূরত্বে অবস্থিত। DNA হেলিক্সের ব্যাস 20Å।

কোষঝিল্লি প্রতিটি সজীব কোষের প্রোটোপ্লাজম যে সূক্ষ্ম, স্থিতিস্থাপক, বৈষম্যভেদ্য, লিপো-প্রোটিন দ্বারা গঠিত সজীব দ্বিস্তরী ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে, তাকে প্লাজমামেমব্রেন বা কোষঝিল্লি বলে।

কোষ ঝিল্লির উপাদান :

প্রোটিনঃ 60 – 80% (গাঠনিক প্রোটিন, এনজাইম, বাহক প্রোটিন)

লিপিডঃ 20 – 40% (ফসফোলিপিড, স্টেরল ইত্যাদি)

কার্বোহাইড্রেট পানি ও লবনঃ 4 – 5% (অলিগোস্যাকারাইড)

ব্যাকটেরিয়ায় আদিকোষ থাকে। ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী অণুজীবদের একটি বিরাট অধিজগৎ । আদিকোষকে প্রোক্যারিওটিক কোষও বলা হয়। নিউক্লিয়াসের গঠনের উপর ভিত্তি করে আদি কোষের সাথে প্রকৃত কোষের পার্থক্য করা হয়। প্রকৃত কোষে উপস্থিত অধিকাংশ অঙ্গাণুই আদি কোষে নেই, কেবল ব্যতিক্রম হল রাইবোজোম যা উভয় ধরনের কোষেই উপস্থিত।

নিউক্লিক অ্যাসিডকে হাইড্রোলাইসিসের পর নিম্নলিখিত উপাদানসমূহ পাওয়া যায়। যথা: ১. পেন্টোজ সুগার ২. নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক ৩. ফসফোরিক অ্যাসিড।

নিউক্লিক অ্যাসিডকে হাইড্রোলাইসিসের পর নিম্নলিখিত উপাদানসমূহ পাওয়া যায়। যথা: ১. পেন্টোজ সুগার ২. নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক ৩. ফসফোরিক অ্যাসিড।

সাইটোকাইনেসিস হলো কোষ বিভাজনের সেই পর্যায় যেখানে সাইটোপ্লাজম দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়ে যায়। নিউক্লিয়াসের বিভাজন ক্যারিওকাইনেসিস নামে পরিচিত। ক্লোরোপ্লাস্ট এবং প্লাজমামেমব্রেন কোষের অঙ্গাণু, এদের বিভাজন সাইটোকাইনেসিসের অংশ নয়।

লাইসোসোম (Lysosome) এর আবরণী ঝিল্লি লিপো-প্রোটিন নির্মিত। ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ অবস্থায় এতে প্রায় ৪০/৫০ ধরনের এনজাইম থাকে। উল্লেখযোগ্য এনজাইমগুলো হলো DNAase, RNAase, অ্যাসিড লাইপেজ, এস্টারেজ, স্যাকারেজ, লাইসোজাইম ইত্যাদি।

DNA/RNAইউরাসিল হল নিউক্লিক অ্যাসিড আরএনএর চারটি নিউক্লিওবেসের মধ্যে একটি। অন্যগুলো হল অ্যাডেনিন, সাইটোসিন এবং গুয়ানিন। আরএনএতে, ইউরাসিল দুটি হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে অ্যাডেনিনের সাথে আবদ্ধ হয়। ডিএনএ-তে, ইউরাসিল নিউক্লিওবেস থাইমিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ইউরাসিল হল থাইমিনের একটি ডিমিথিলেটেড ফর্ম। তাই বলা হয় DNA অণুতে ইউরাসিল অনুপস্থিত থাকে |

নিউক্লিয়ার এনভেলপ দ্বারা আবৃত স্বচ্ছ, ঘন ও দানাদার তরল পদার্থই নিউক্লিওপ্লাজম। একে ক্যারিওলিম্ফও বলে।

• এটি নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ প্রোটোপ্লাজমিক রস।

• প্রি-mRNA এর অ্যাডেনিন নিউক্লিওটাইডকে বলা হয় পলি -A টেইল।

• পলি-A টেইল mRNA-র শেষ প্রান্তের সংকেত দেয়।

নিউক্লিক অ্যাসিডের পুনরাবৃত্ত একক নিউক্লিওটাইড। এক অণু নিউক্লিওসাইডের সাথে এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে নিউক্লিওটাইড বলে।

• এক অণু পেন্টোজ শ্যগার, এক অণু নাইট্রোজেন বেস এবং এক অণু ফসফেট সমন্বয়ে নিউক্লিওটাইড অণু গঠিত হয়।

• এটি DNA ও RNA-এর মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।

• UAA, UAG ও UGA কোডন হলো বিরাম কোডন। এরা অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টির জন্য কোনো সংকেত প্রদান করে না।

• UAA, UAG, UGA সমাপ্তি কোডন যারা কোন অ্যামাইনো এসিড কোড করে না।

জিনোমকে Master Blue-print বলা হয় কারণ এটি একটি জীবের সম্পূর্ণ বংশগতির তথ্য ধারণ করে, যা জীবটির বৃদ্ধি, বিকাশ এবং কার্যকারিতা নির্ধারণ করে। DNA, ক্রোমোজোম এবং নিউক্লিয়াস জিনোমের অংশ হলেও, জিনোম হল সমগ্র জেনেটিক তথ্যের সমষ্টি।

কোষচক্রের নিয়ন্ত্রক হলো সাইক্লিন প্রোটিন ও CDK।

• মানুষের কোষে চার পকার সাইক্লিন থাকে। যথা:

i. সাইক্লিন-D: কোষকে G₁ থেকে S এবং S পর্যায় থেকে G₂ পর্যায়ে নিয়ে যায়।

ii. সাইক্লিন-E: S পর্যায়ে DNA রেপ্লিকেশনের জন্য কোষকে প্রস্তুত করে।

iii. সাইক্লিন-A: S পর্যায়ে DNA রেপ্লিকেশনকে সক্রিয় ও ত্বরান্বিত করে।

iv. সাইক্লিন-B: মাইটোটিক স্পিন্ডল তৈরিসহ মাইটোসিসের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সম্পন্ন করে।

এডেনিন থাইমিনের সাথে দুটি হাইড্রোজেন বন্ডের মাধ্যমে (A = T) এবং সাইটোসিন গুয়ানিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ডের (C = G বা G = C) মাধ্যমে যুক্ত হয়।

অঙ্কোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ে টিউমার সৃষ্টি হয়। অঙ্কোজিন নামক জিন এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

• প্রি-mRNA এর অ্যাডেনিন নিউক্লিওটাইডকে বলা হয় পলি -A টেইল।

• পলি-A টেইল mRNA-র শেষ প্রান্তের সংকেত দেয়।

অ্যান্টিকোডন tRNA লুপ-এ অবস্থিত একটি ৩ নিউক্লিওটাইড অংশ বা mRNA এর কোডনের সাথে জোড়া বাঁধে। tRNA-কে দ্রবণীয় RNA (SRNA) বা গ্রাহক RNA-ও বলা হয়। নিউক্লিয়াসে DNA থেকে tRNA তৈরি হয়। এটি একটি ক্ষুদ্র প্রকৃতির RNA।

অ্যাপোপটোসিস হলো জেনেটিক্যালি নিয়ন্ত্রিত কোষমৃত্যু। নেক্রোসিস অনিয়ন্ত্রিত কোষমৃত্যু ।

কোষ চক্রের S দশায় (Synthesis phase) ডিএনএ-এর সংশ্লেষণ ঘটে। এই দশায় প্রতিটি ক্রোমোজোমের ডিএনএ প্রতিলিপিকরণ হয়। G${}_1$ দশা হলো কোষের বৃদ্ধির একটি পর্যায় এবং G${}_2$ দশায় কোষ বিভাজনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। M দশা হলো মাইটোসিস বা মিয়োসিস পর্যায় যেখানে কোষ বিভাজিত হয়।

রাইবোসোমের প্রধান উপাদান হচ্ছে প্রোটিন ও RNA এদের অনুপাত প্রায় ১ : ১। এছাড়া এতে ২-৩ ধরনের RNAase এনজাইম এবং অল্প ++ পরিমাণে ধাতব আয়ন যেমন: ${Mg}^{++},{Ca}^{++}$ ও ${Mn}^{++}$ ইত্যাদি থাকে।